চাঁদপুর জেলার মতলব নামের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এক উজ্জ্বল ও নৈতিকতাবান নাম— তানভীর হুদা। তিনি শুধু একজন রাজনীতিকই নন, বরং এক আদর্শ, এক মূল্যবোধের প্রতীক, যিনি রাজনীতিকে দেখেছেন জনসেবার পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে। আজ যখন রাজনীতির মাঠে ব্যক্তিস্বার্থ, দলীয় সংঘাত ও প্রতিহিংসা অনেক সময় নীতি ও আদর্শকে ছাপিয়ে যায়, তখন তানভীর হুদার জীবনদর্শন হয়ে উঠেছে অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শৈশব, পরিবার ও নৈতিক শিক্ষা
তানভীর হুদার রাজনৈতিক ও মানবিক চেতনার শিকড় খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর পারিবারিক শিক্ষায়। তিনি এমন এক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন যেখানে নৈতিকতা, ধর্মভীরুতা ও মানবপ্রেম ছিল জীবনের মূলভিত্তি। তাঁর মা খুশি বেগম ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ নারী—নিয়মিত নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, এবং সন্তানদের মধ্যে মানবিক গুণাবলি বিকাশে নিবেদিতপ্রাণ। এই পারিবারিক অনুশাসনই তানভীর হুদার চরিত্রে তৈরি করেছে সততা, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধের ভিত্তি।
রাজনীতিতে প্রবেশ : আদর্শ ও দায়িত্বের পথ
তানভীর হুদার রাজনীতি শুরুই হয় নীতির মাটিতে দাঁড়িয়ে। তাঁর কাছে রাজনীতি মানে ছিল না ক্ষমতা দখলের খেলা—বরং মানুষের ভালোবাসা অর্জনের, সমাজকে বদলে দেওয়ার এক দায়িত্বপূর্ণ অভিযাত্রা। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এলাকার স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, খেলাধুলা ও সামাজিক উদ্যোগে তাঁর ভূমিকা তাঁকে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে আসে। তাঁর এই আন্তরিকতা ও নেতৃত্বগুণই তাঁকে রাজনীতিতে এগিয়ে নিয়ে আসে এক ধাপ এক ধাপ করে।
জনগণের রাজনীতি বনাম দলীয় রাজনীতি
তানভীর হুদা বিশ্বাস করতেন—দলীয় রাজনীতি নয়, জনগণের রাজনীতিই প্রকৃত রাজনীতি। তাঁর দৃষ্টিতে দল কেবল একটি মাধ্যম; মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ। তাই তিনি কখনও অন্ধ আনুগত্যে বিশ্বাসী ছিলেন না। বরং সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে তিনি দলীয় ও সামাজিক স্বার্থের সংঘাতেও সাহসী অবস্থান নিয়েছেন। তাঁর এই অবস্থান তাঁকে অনেক সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পাশাপাশি নিজের দলের কিছু অংশের সমালোচনার মুখেও ফেলেছে, কিন্তু তিনি বিচলিত হননি। তিনি জানতেন—“সত্যের পথে যারা চলে, তাদের পথ কখনও মসৃণ হয় না।”
উন্নয়ন ও জনসেবা: মাঠের মানুষ
মতলবের মানুষ তানভীর হুদাকে মনে রাখবে এক “মাঠের মানুষ” হিসেবে। তিনি প্রশাসনের কাগুজে রাজনীতিক ছিলেন না, বরং ছিলেন মানুষের দোরগোড়ার প্রতিনিধি। কৃষক, জেলে, শ্রমজীবী, তরুণ উদ্যোক্তা—সবাইকে নিয়ে কাজ করার এক নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন তিনি। এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চা, মাদকবিরোধী আন্দোলন, এবং যুব সমাজকে কর্মমুখী করার উদ্যোগ—সবখানেই ছিল তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ। তাঁর ভাষায়-“যে রাজনীতি মানুষকে বিভক্ত করে, তা রাজনীতি নয়;যে রাজনীতি মানুষকে এক করে, সেটাই প্রকৃত রাজনীতি।”
আদর্শ, নীতি ও সততার রাজনীতি
তানভীর হুদা আজকের তরুণ রাজনীতিকদের জন্য এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা। যে সময় রাজনীতি ক্রমে বাণিজ্যিক পেশায় রূপ নিচ্ছে, সে সময় তিনি প্রমাণ করেছেন—সততা, শুদ্ধ চিন্তা ও নৈতিক অবস্থান দিয়েও মানুষের মন জয় করা সম্ভব। তিনি সর্বদা বলে থাকেন—“ক্ষমতার চেয়ে নীতির জয় বড়। কারণ ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নীতি চিরস্থায়ী।”
তাঁর সহনশীলতা, ভদ্রতা ও শালীন রাজনৈতিক আচরণ তাঁকে দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতা। প্রতিপক্ষও তাঁকে সম্মান করতেন তাঁর ন্যায্য অবস্থান ও বিনয়ী ব্যবহারের জন্য।
মানবিক ও সাহিত্যবোধ
রাজনীতির পাশাপাশি তানভীর হুদা ছিলেন এক গভীর সাহিত্যানুরাগী মানুষ। বই, ইতিহাস, এবং মানবচিন্তা নিয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল গভীর। তিনি বিশ্বাস করতেন, “একজন ভালো পাঠকই হতে পারে একজন ভালো রাজনীতিক।” স্থানীয় সাহিত্যচর্চা ও তরুণ লেখকদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। মতলবের সাংস্কৃতিক জগতে তাঁর প্রভাব অনুভূত।
দল-মতের ঊর্ধ্বে তানভীর হুদা
রাজনীতির মাঠে যখন বিভাজন, সংঘাত ও ব্যক্তিস্বার্থে কলুষতা ছড়িয়েছে, তখনও তানভীর হুদা আপন ব্যক্তিত্বের আলোয় নিজেকে তৈরি করেছেন এক ব্যতিক্রম রাজনীতিবিদ। তাঁর কাছে রাজনীতি মানে সবার আগে মানুষ। তিনি বিশ্বাস করেন, দল মানুষের সেবার একটি মাধ্যম মাত্র, শোষণ করার জন্য নয়। তানভীর হুদা কখনও আনুগত্যে অন্ধ হননি; বরং ন্যায় ও সত্যের পক্ষে নির্ভীক পথ চলেছেন। বিরোধী মতের মানুষকেও তিনি শ্রদ্ধা করেন, কারণ তাঁর চোখে রাজনীতি হচ্ছে মতবিরোধ নয়, মতবিনিময়ের শিল্প। তাঁর সহজ-সোজা জীবন, বিনয়ী আচরণ ও মানবিক রাজনীতি তাঁকে দলের গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে। আজকের বিভক্ত রাজনীতিতে তানভীর হুদার আদর্শ তাই মনে করিয়ে দেয়—“যে রাজনীতিক দল-মতের ঊর্ধ্বে মানুষকে ভালোবাসতে শেখে, তিনিই প্রকৃত জননেতা।”
উত্তরাধিকার ও অনুপ্রেরণার প্রতীক
তানভীর হুদার জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা ও প্রেরণার উৎস।
তাঁর জীবন আমাদের শেখায়—সততা, নীতি ও জনগণের ভালোবাসা অর্জনই রাজনীতির প্রকৃত সার্থকতা। তিনি দেখিয়েছেন, রাজনীতি কেবল পেশা নয়—এটি এক সেবামূলক আদর্শের ক্ষেত্র।
আজ যখন সমাজে আদর্শভিত্তিক রাজনীতির সংকট গভীর হচ্ছে, তখন তানভীর হুদার জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে একটি দিশারি হয়ে উঠতে পারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস মতলবের রাজনীতির ইতিহাসে তানভীর হুদার নাম উচ্চারিত হবে এক অনুকরণীয়, সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিক হিসেবে। তাঁর সততা, মানবিকতা, নীতিনিষ্ঠা ও জনগণের প্রতি গভীর মমত্ববোধই তাঁকে আলাদা করেছে সাধারণ রাজনীতিবিদদের ভিড় থেকে। তাঁর মতো মানুষের জন্যই রাজনীতি এখনো এক পবিত্র ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে—যেখানে লক্ষ্য থাকে দেশের কল্যাণ, মানুষের ভালো থাকা, এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নৈতিক সমাজ নির্মাণ।
তানভীর হুদা—নামটি তাই শুধু একজন ব্যক্তির পরিচয় নয়, বরং মতলবের মানুষের হৃদয়ে এক অনন্ত নৈতিক আদর্শের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
লেখক :
আজম পাটোয়ারি
প্রকাশক
আরডিএম মিডিয়া এন্ড প্রকাশনী।