চাঁদপুর-২ আসনে দল-মত নির্বিশেষে তানভীর হুদা আজ যে অবস্থানটি পেয়েছেন, তা সহজে অর্জিত হয়নি। এটি তার জন্মগত যোগ্যতা বা পারিবারিক পরিচয়ের কারণে নয়, বরং মানুষের সেবায় অনল উপেক্ষা, আদর্শের প্রতি অবিচলতা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফল। পরিচিত ও অচেনা, ধনী বা দরিদ্র—সব শ্রেণির মানুষ তাকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন। এই জনপ্রিয়তা কোনো কৃত্রিম প্রচারণার মাধ্যমে এসেছে না, বরং বছরের পর বছর ধরে মাঠে-ঘাটে মানুষের সঙ্গে মিশে এবং তাদের কষ্ট-বেদনাকে নিজের মনে ধরে রাখার কারণে।
মতলব উত্তর উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় যখন রাজনৈতিক বিভাজন ও দলীয় রঙের কারণে মানুষ একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য হয়, তখন তানভীর হুদা সেই সীমারেখাকে অতিক্রম করেছেন। তিনি কখনো রাজনৈতিক প্রলেপ বা ক্ষমতার আশায় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। বরং তিনি মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার সঙ্গে নিজের জীবনকে মিলিয়ে নিয়েছেন। ঘরে বসে আরামদায়ক জীবনযাপন করে তিনি কখনো রাজনীতির চূড়ান্ত সত্যভিত্তিক শিক্ষা নিতে পারতেন না। এজন্য তিনি প্রতিনিয়ত মাঠে নামেন, মানুষকে বোঝেন, তাদের কথা শোনেন এবং সমস্যার সমাধানের বাস্তব উপায় খুঁজে বের করেন।
একটি ছোট্ট ঘটনা এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। চাঁদপুর-২ এর এক গ্রামে বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে বহু পরিবার ভূমিহীন হয়ে পড়েছিল। সাধারণভাবে অনেক রাজনৈতিক নেতা এই সমস্যার দিকে চোখ রাখেন না। কিন্তু তানভীর হুদা তখনই গ্রামের মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তিনি একে একে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে যান, তাদের যন্ত্রণার কথা শোনেন এবং নিজস্বভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ত্রাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করান। শুধু ত্রাণ দিয়ে থামেননি, বরং এলাকার স্কুল, হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি রিপোর্ট করে তা পুনঃনির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছেন। এই ধরনের উদাহরণই তার জনপ্রিয়তার মূল কারণ।
তার জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে সীমাবদ্ধ নয়। রাজনৈতিক সচেতনতা ও নৈতিকতাবোধও তাকে অনন্য করে তুলেছে। বাংলাদেশের রাজনীতি অনেক সময়ই ক্ষমতার লড়াই ও দলীয় আগ্রাসনের দ্বারা আচ্ছন্ন থাকে। সাধারণ মানুষ সেখানে তাদের অধিকার, সুযোগ ও সঠিক সেবা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু তানভীর হুদা সেই ধারা ভেঙে দিয়েছেন। তিনি রাজনীতিকে মানুষের সেবা ও ন্যায়ের পথ হিসেবে দেখেন। তিনি সবসময় বলেছেন, “রাজনীতি যদি জনগণের কল্যাণের জন্য না হয়, তবে এটি কেবল ক্ষমতার খেলা।” এই মনোভাব তার প্রতি মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে।
চাঁদপুর-২ আসনের মানুষ তাঁকে কেবল একজন নেতা হিসেবে দেখে না, বরং একজন সন্তান, একজন বন্ধু, একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করেছে। তিনি নিজের আদর্শকে সর্বদা মানুষের পাশে রেখেছেন। কখনো নিজের সুবিধা বা স্বার্থকে মানুষের চাওয়ার উপরে প্রতিষ্ঠা করেননি। এই উদার মনোভাব ও আন্তরিকতা অনেক সময় নতুন রাজনৈতিক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। একজন যুবক হিসেবে তিনি নিজের দল এবং দলের বাইরে থাকা মানুষদের সঙ্গে মানবিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরল দৃশ্য।
একটি বড় দৃষ্টান্ত হলো স্থানীয় সমস্যা সমাধানে তার দৃঢ় নেতৃত্ব। চাঁদপুর-২ এর এক এলাকায় পানির সমস্যা দীর্ঘদিন ungel solved ছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমস্যার সমাধান না করতে পারলেও তানভীর হুদা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রকৌশলী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। ১ মাসের মধ্যে পুরো এলাকার পানির পাইপলাইন স্থাপন এবং নিয়মিত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। এই কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের চোখে তাকে একজন যোগ্য, সতর্ক এবং নিবেদিত নেতা হিসেবে তুলে ধরে।
তানভীর হুদা শুধু জনসেবা এবং বাস্তব সমস্যার সমাধানেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি মানুষের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সবসময় ধর্মীয় নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুত্ব দেন। মানুষ তাকে কেবল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, বরং নৈতিক ও আদর্শিক নেতা হিসেবেও মানেন। তিনি শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং মানবসেবার চেতনা ছড়িয়ে দেন। শিক্ষার্থীদের জন্য স্থানীয় স্কুল ও কলেজে মেধা ভিত্তিক স্কলারশিপ, কর্মশালা ও যুবসংগঠন পরিচালনার মাধ্যমে তিনি শিক্ষার উন্নয়নে নিজস্ব অবদান রাখছেন।
রাজনৈতিক সহনশীলতার ক্ষেত্রে তানভীর হুদা অনন্য। বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, অন্তঃদলীয় বিতর্ক এবং পারস্পরিক অসহিষ্ণুতার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ সর্বদা থাকে। কিন্তু তানভীর হুদা সবসময় দল-মত নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেন। বিএনপি’এর নেতা হলেও তিনি অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংলাপ ও সহযোগিতার যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন, তা অন্যদের জন্য উদাহরণ। তিনি বিশ্বাস করেন, “সহনশীল রাজনীতিই শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি।”
তিনি কখনো ব্যক্তিগত ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি। রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়, বিশেষ করে সরকারের কঠোর দমন-পীড়ন ও পুলিশের হস্তক্ষেপের সময়ে তিনি সবচেয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৮ সালের স্থানীয় নির্বাচনের পূর্বে চাঁদপুর-২ এলাকায় তিনি নির্বাচনকালীন উত্তেজনা ও ভয়ভীতি কমাতে নিজেকে জনগণের মাঝে রেখেছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রামের সময় তিনি ছিলেন সর্বদা অগ্রভাগে, কিন্তু কখনোই সহিংসতা বা অশান্তির প্ররোচনা দেননি। তার জন্য রাজনীতি মানে মানুষের সেবা, আদর্শ প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায় রক্ষা।
একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তানভীর হুদার জনপ্রিয়তার আরেকটি মূল কারণ হলো তার সত্যনিষ্ঠা। তিনি প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপায়িত করার চেষ্টা করেন। জনগণকে কেবল আশ্বাস দিয়ে থামেন না, বরং বাস্তব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এজন্য মানুষ তাকে বিশ্বাস করে, তার কাছে সমস্যার সমাধানের জন্য আসে, এবং সেই বিশ্বাস কখনো ভাঙে না।
চাঁদপুর-২ আসনের মানুষের চোখে তিনি যেন “সবসময় পাশে থাকা নেতা”। গ্রামীণ অঞ্চলে তার উপস্থিতি মানে শুধু রাজনৈতিক সমর্থন নয়, বরং আশ্রয়, সাহচর্য এবং সমাধান। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত থাকেন, মানুষকে উৎসাহিত করেন, এবং তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করেন।
তার জনপ্রিয়তার আরেকটি দিক হলো জনগণের দুঃখ-বেদনা বোঝার ক্ষমতা। তিনি কেবল অভিযোগ শুনেন না, বরং মানুষকে তাদের অধিকার এবং তাদের দাবির পথ দেখান। চাঁদপুর-২ আসনের প্রতিটি মানুষ জানে, তানভীর হুদা তাদের জন্য সংগ্রাম করতে কোনো বাঁধা মানেন না।
এমনকি স্থানীয় ব্যবসায়ী, কৃষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, শ্রমিক—সবাই তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কারণ তার কাছে রাজনৈতিক পদ কোনও শেষ লক্ষ্য নয়। তার লক্ষ্য হলো জনগণকে জীবনমান উন্নয়নের পথ দেখানো, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। এই মানবিক নেতৃত্ব ও আদর্শিক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে অন্যদের তুলনায় আলাদা করে।
তানভীর হুদার জনপ্রিয়তা শুধু চাঁদপুর-২ এর মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি স্থানীয় রাজনীতির ধারা পরিবর্তন করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, কোনো নেতা যদি আদর্শিক ও নৈতিকভাবে অটল থাকে, মানুষের পাশে থাকে এবং তাদের কল্যাণে নিবেদিত থাকে, তবে দল-মত নির্বিশেষে মানুষ তার প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা দেখাবে।
রাজনীতিতে তার আচরণ ও কর্মকাণ্ড তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। তারা দেখেছে কীভাবে একটি নেতাকে রাজনৈতিক প্রভাব, ক্ষমতা ও স্বার্থের বাইরে থেকেও মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হয়। তরুণরা তাকে কেবল নেতা হিসেবে নয়, বরং ন্যায়ের প্রতীক, আদর্শিক ও মানবিক পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখে।
চাঁদপুর-২ আসনে তানভীর হুদার জনপ্রিয়তা একটি জটিল সামাজিক প্রক্রিয়ার ফল। এটি কেবল তার জন্মগত সুবিধা বা পারিবারিক পরিচয়ের কারণে নয়, বরং মানুষের পাশে থাকার দৃঢ় সংকল্প, সাহসী নেতৃত্ব, ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ, সহনশীলতা এবং সমাজসেবায় নিবেদিত জীবনযাপনের কারণে। আজ তিনি শুধু নির্বাচিত নেতা নয়, বরং মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী প্রতীক হয়ে আছেন। এভাবেই চাঁদপুর-২ আসনে দল-মত নির্বিশেষে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন তানভীর হুদা। প্রতিটি কর্ম ও উদ্যোগে তিনি প্রমাণ করেছেন, রাজনীতি শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়, এটি মানুষের কল্যাণ, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং আদর্শের লড়াই। এই কারণে তিনি আজ চাঁদপুর-২ এর জনগণের হৃদয়ে অবিচল জায়গা দখল করেছেন।
লেখক :
আজম পাটোয়ারী
প্রকাশক
আরডিএম ,মিডিয়া এন্ড প্রকাশনী।