চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মাদকাসক্তির জেরে পারিবারিক কলহের পর এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ছেংগারচর পৌরসভার বারআনী এলাকার ২নং ওয়ার্ডে জনৈক ডা. মোহাম্মদ আলীর ভাড়াটিয়া ভবনের নিচতলায়। নিহতের নাম মহসিন (২৬)। তিনি বারআনী এলাকার মোফাজ্জল নফসীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে মহসিন নিজের ভাড়া ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার এসআই শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহসিন পূর্বে বিভিন্ন কোম্পানিতে এসআর (সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ) হিসেবে কাজ করতেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশান্তি করতেন এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতেন। গত কয়েকদিন ধরে মহসিনের আচরণ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠায় তার মা-বাবা তাকে ঘরে আটকে রাখেন।
অভিযুক্ত সময়ের আগে শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিষয়টি থানায় জানানো হলে কিলো–৫ এলাকায় দায়িত্বে থাকা এসআই শাহাদাত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি মহসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মাদক সেবন না করার পরামর্শ দেন এবং তার মা-বাবাকে রিহ্যাবে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন।
তবে মহসিনের পিতা-মাতা তখন তাকে গ্রেফতার করে জেলে দেওয়ার দাবি জানান। পরে বিকেলে তারা থানায় এসে পুনরায় বিষয়টি জানানোর সময় বাড়িতে মহসিন একা ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে তারা ফিরে এসে দেখতে পান, ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে মহসিনের লাশ।
খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। মহসীন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিল এবং পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পারিবারিক কলহ ও মাদকাসক্তি থেকে সৃষ্ট মানসিক চাপেই যুবকটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।