চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ঐ ইউনিয়নের বিভিন্ন যায়গায় পোস্টার লাগানো হয়েছে, সেখানে দেখা যায়, তিনি বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) নামে একজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, বন বিভাগের গাছ কেটে বিক্রি করা, ন্যায্যমূল্যের চাল গোপনে বাইরে বিক্রি, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় এবং বিচার-সালিশের নামে টাকা আত্মসাৎসহ একাধিক অনিয়মে তিনি জড়িত। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, ৫ আগস্টের পর থেকে হঠাৎ করেই আবুল কালাম আজাদের আর্থিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন দেখা যায়। তাদের অভিযোগ, তিনি নায়েরগাঁও বাজারে নিজের মালিকানায় একটি হাসপাতাল স্থাপন করেছেন। তবে তার প্রকৃত আয়ের উৎস সম্পর্কে কেউ কিছু জানেন না। এ কারণে স্থানীয়দের প্রশ্ন, তিনি কোন আলাদিনের চেরাগ পেলেন?
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, একজন বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি কীভাবে বিএনপির মতো জনগণবান্ধব দলের ইউনিয়ন সেক্রেটারি পদে থাকতে পারেন, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তারা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলের উচ্চপর্যায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দুর্নীতির বিচার চাই, জনগণের টাকা জনগণকে ফেরত দাও এই স্লোগানকে সামনে রেখে নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সচেতন এলাকাবাসী পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি কোনো চাঁদাবাজি বা দখলবাজির সঙ্গে জড়িত নই। আমি নিষ্ঠার সঙ্গে দলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি। আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক বাদল মুঠোফোনে জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আর এই বিষয়টি মাত্র আমি আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম। আমি খোঁজখবর নেব যদি এ বিষয়ে উনি সম্পৃক্ত থাকে তাহলে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।