শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(শেকৃবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর ফেলোশীপ প্রাপ্ত মেধাবী ফেলো পিএইচডি অধ্যয়নরত রুহুল আমিন জটিল ব্যাধী ব্রেইন স্ট্রোক করে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ নিয়ে গত ১৮ই অক্টোবর রোজ শুক্রবার রাত ১০ ঘটিকায় ঢাকা ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি হন।
তার এই মুমুর্ষ মুহুর্তে অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্ত-অনুরক্ত, কলিগ, শিক্ষার্থী ও বন্ধু বান্ধবগণ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েন। আল্লাহর অশেষ রহমত ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীগণের দোয়ায় হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থায় পপুলার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল এর নিউরো প্রধান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল এর নিউরো প্রধান, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরো সাইন্স হাসপাতাল এর নিউরো প্রধান ও আরো কতিপয় বিশেষজ্ঞ ডক্টরদের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে আইসিইউতে এক সপ্তাহ নিবীর পর্যবেক্ষণে থাকেন।
এরপর শেকৃবির এই প্রিয় সহযোগী অধ্যাপককে ৫১৭নং ডিলাক্স কেবিনে স্থানান্তর করা হয় এবং কেবিনে তিনদিন থাকার পর চিকিৎসক প্যানেলের ডাক্তারদের পরামর্শে তার নিজস্ব বাসভবন শেকৃবির শাপলা ভবনে সিফট করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, শাপলা ভবনে একদিন অবস্থানের পরেই পূর্বের রক্তক্ষরণের প্রভাবে তার ডান পা অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। পপুলার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শে আবারো তাকে জরুরী ভিত্তিতে ৬৩২ নং কেবিনে ভর্তি করানো হয়।
পিজি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জন ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডাক্তার রাকিবুল হাসান অপু এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডান পায়ে অপারেশন করে আইভিএস ফিল্টার বসিয়ে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করা হয়।
গত শুক্রবার ১৮ই অক্টোবর থেকে ২রা নভেম্বর পর্যন্ত স্যারের এই কৃটিক্যাল মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর জনাব ডক্টর আব্দুল লতিফ স্যারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য গুণগ্রাহী, ঢাকাস্থ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীগণ, তার হাজার হাজার বন্ধু-বান্ধবগণ, তার নিজস্ব গ্রাম মতলব উত্তর তথা চাঁদপুরের অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্তগণ এবং দলমত নির্বিশেষে অসংখ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সার্বক্ষনিক দেখাশুনা করেন এবং স্যারের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। আমাদের পরোপকারী এই মানবিক স্যারের জন্য দেশ এবং বিদেশের অসংখ্য শুভানুধ্যায়ীগণ নামাজ-রোজা, দান-সদকা ও এতিমখানায় দোয়া ও মিলাদ এবং খাবার পরিবেশন করে সার্বক্ষনিক তার সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈজ্ঞানিক ভাষ্যমতে তাকে আরো তিন মাস হাসপাতাল কিংবা তার নিজস্ব বাসভবনে নিবীর পর্যবেক্ষনে থাকতে হবে বিধায় এবং তার পরিবারবর্গ পুরো দেশবাসীর নিকট তার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়ার প্রার্থনা করেছেন।
তাই আসুন, আমরা যাহারা আমাদের এই প্রিয় স্যারের শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী আছি সকলে মিলে দ্রুত স্যারের আরোগ্য লাভে মহান আল্লাহতায়ালার নিকট তাহার দুটি মাছুম বাচ্চাসহ তাহার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি। আমিন।